হাঁপানি, এজমা হওয়ার কারন, প্রকারভেদ ও প্রতিরোধ।

   হাঁপানি বা এজমা  হওয়ার কারন ও প্রতিকার,প্রকারভেদ,প্রতিরোধ।



দীর্ঘমেয়াদী হাঁপ বা বারবার হাঁপের আক্রমণকে হাঁপানি বলে। 

হাঁপানি শ্বাসতন্ত্রের ক্রনিক প্রদাহ জনিত ও ক্ষুদ্র শ্বাসনালীগুলোর রোগ, যাতে ক্ষুদ্র শ্বাসনালীগুলো সর্বদা প্রদাহজনিত কারণে লাল এবং সংবেদনশীল থাকে। এ সংবেদনশীল ক্ষুদ্র শ্বাসনালীগুলো যদি ঠাণ্ডা, ভাইরাস জীবাণু অথবা হাঁপানি উদ্দীপক অন্য কোন বস্তুর সংস্পর্শে আসে তখন সেগুলোতে প্রতিক্রিয়া জনিত সংকোচন ঘটে ফলে শ্বাস নালী সংকীর্ণ হয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি হয় এবং রোগীর শ্বাস কষ্ট হয়।


কারণ (Cause)


প্রচলিত চিকিৎসা মতে – অনেক সময় সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না।

হোমিওপ্যাথি মতে- সোরা ও সাইকোসিস উপবিশ এর প্রধান কারণ। যেমন কারো গনোরিয়া বা চর্ম রোগ মলম দিয়ে বা বিসদৃশ পন্থায় বিতাড়িত করার পরে এ রোগটি ফুসফুসে আক্রমণ করলে রোগের নাম হয় হাঁপানি, লি

ভারে আক্রমণ করলে এর নাম হয় লিভার

 সিরোসিস, কিডনিতে আক্রমণ করলে এর নাম হয় নেফরোসিস।


হোমিওপ্যাথি মতে- গনোরিয়া বা চর্ম রোগ মলম দিয়ে বা বিসদৃশ পন্থায় বিতাড়িত করার কুফল বংশানুক্রমিক বিস্তার লাভ করে।


এলার্জি-এলার্জির কারণে হাঁপানি হতে পারে। ধূলা, বালি, ফুলের রেণু, পশুপাখির লোম, পালক, বিভিন্ন ধরনের খাদ্য যেমন – ইলিশ মাছ, গরুর মাংস, বেগুন, ডিম ইত্যাদিতে যদি কারো এলার্জি থাকে তবে

 এগুলোর সংস্পর্শে এলে বা খেলে হাঁপানি হতে পারে।

বংশগত- যদি কারো বংশে হাঁপানির ইতিহাস থাকে তবে তার হাঁপানি হতে পারে।

শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ- ধূমপান করলে হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


প্রকার ভেদ (Classification) :


এপিসোডিক হাঁপানি (Episodic Asthma) : হঠাৎ শ্বাস কষ্ট সাধারণত শ্বাস ফেলার সময় যার সাথে শাঁইশাঁই শব্দ থাকে । যখন ভালো হয়ে যায় তখন রোগের কোন লক্ষণ থাকে না।

ক্রনিক হাঁপানি (Chronic Asthma) : এটা এপিসোডিক হাঁপানি যা বছরের পর বছর কখনো না কখনো চলে। কিন্তু ভালো সময়ে কিছু পরিমাণ শ্বাস কষ্ট থাকে ।

 কাশি মিউকাস মিশ্রিত থুথু এবং বার বার শ্বাসতন্ত্রের সংক্রামণ দেখা যায় । যখন রোগের অন্য লক্ষণ থাকে না তখনও Rhonchi দেখা যায় ।

হঠাৎ মারাত্মক হাঁপানি (Acute severe Asthma) : এ ধরনের খুবই মারাত্মক । এই হাঁপানি থেকে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে ।

 

 হঠাৎ মারাত্মক হাঁপানির চিকিৎসা: হঠাৎ মারাত্মক হাঁপানির চিকিৎসার প্রধান কথাই হল রোগীকে দ্রুত বিপদমুক্ত করতে হবে। হোমিও ঔষধ দিয়ে রোগীকে সাথে সাথে হাসপাতালে পাঠাতে হবে। হোমিও ঔষধে কাজ হলে হাসপাতালে যাওয়ার পূর্বেই রোগী সুস্থ অনুভব করবে। রোগী সহনশীল অবস্থায় ফিরে এলে লক্ষণ ভিত্তিক হোমিও চিকিৎসা করতে হবে।


প্রতিরোধ (Prevention) :


রোগীর অভিজ্ঞতা অনুসারে যে যে কারণে (আবহাওয়া, বিশেষ খাদ্য ও পানিয়, গোসল ও পরিবেশ ইত্যাদি) হাঁপানির টান বেড়ে যায় তা থেকে রোগীকে দূরে থাকতে হবে ।

ধূমপান এবং সব রকমের ধোয়া থেকে রোগীর দূরে থাকা প্রয়োজন ।

কম্বল, কার্পেট, লোমশ পোশাক, ঘর ঝাড়া, কুকুর, বিড়াল, খরগোস ইত্যাদির মাধ্যমে হাঁপানির সংক্রমণ ঘটতে পারে তাই এগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে ।

Post a Comment

0 Comments